আইপিএলের এবারের আসরে প্রতিটি ডট বলের জন্য গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে এমন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে শুধু পরিবেশ নয় খেলার দিক থেকেও ডট বলের গুরুত্ব অনেক বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি ডট বলও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে পাওয়ারপ্লের সময় যখন বাউন্ডারির বাইরে মাত্র দুইজন ফিল্ডার থাকে তখন ডট বল করাটা হয়ে ওঠে অনেক কঠিন কাজ।
তবে টি-টোয়েন্টির যুগে পাওয়ারপ্লেতে ডট বল করাটা যেখানে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি সেখানে এই চ্যালেঞ্জটাকে অনেকটাই সহজ করে তুলেছেন আইপিএলের তিন দলের তিন পেসার। চলতি আসরে পাওয়ারপ্লেতে অন্তত ৫ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডট বল করেছেন জশ হ্যাজেলউড, মোহাম্মদ সিরাজ এবং জফরা আর্চার।
হ্যাজেলউড রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন মোহাম্মদ সিরাজ রয়েছেন গুজরাট টাইটান্সে, আর জফরা আর্চার খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। এই তিনজনই চলতি আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে ৬০ শতাংশের বেশি ডট বল করতে সক্ষম হয়েছেন—একমাত্র তারাই এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। অন্য কোনো বোলার যিনি অন্তত ৫ ওভার করেছেন পাওয়ারপ্লেতে ৫৬ শতাংশ ডট বলের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। এই তিন পেসারের পরিসংখ্যানের বিশেষত্ব এখানেই।
সবচেয়ে বেশি ডট বল করার কৃতিত্ব অবশ্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজেলউডের। চলতি আসরে পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে তিনি ডট বল দিয়েছেন ৬৯.৪ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সবার সেরা। যদিও তার ঝুলিতে উইকেটের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে ব্যাটারদের জন্য ক্রিজে টিকে থাকা কঠিন করে তোলার কাজটা নিখুঁতভাবে করে যাচ্ছেন হ্যাজেলউড।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ পাওয়ারপ্লেতে করেছেন ৬৩.৬ শতাংশ ডট বল যা তাকে তালিকার দুই নম্বরে জায়গা করে দিয়েছে। তবে শুধু ডট বলেই নয় উইকেট শিকারে থেকেছেন সবচেয়ে কার্যকর। চলতি আসরে প্রথম ৬ ওভারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনিই। তার বর্তমান দল গুজরাট টাইটান্স আর সাবেক দল বেঙ্গালুরু মিলিয়ে পাওয়ারপ্লেতে মোট ৭ উইকেট পেয়েছে। আর এই ৭টিই এসেছে এককভাবে সিরাজের হাত ধরে। অন্যদিকে তালিকার তিনে থাকা জফরা আর্চার ডট বল দিয়েছেন ৬১.৯ শতাংশ তিনজনের মধ্যে তিনিই রয়েছেন সবচেয়ে নিচে।
আর্চারের আইপিএল শুরুটা হয়েছিল বেশ বিব্রতকরভাবে। হায়দরাবাদের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি ৪ ওভারে খরচ করেন ৭৬ রান যা আইপিএলের অন্যতম বাজে বোলিং পরিসংখ্যান হিসেবে রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুতই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এখন তিনি রয়েছেন চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায়।
ইউএ / টিডিএস