বিসিবি সভাপতিকে কোটি টাকা চেয়ে এনএসসির চিঠি

স্পোর্টস ডেস্ক

দুই খাতে প্রাপ্য অর্থ চেয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে চিঠি দিয়েছেন।

২০০৭-২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে গেটমানি বাবদ ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৭ টাকা প্রদান করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই অর্থকে প্রকৃত পরিমাণের তুলনায় কম মনে করে এবং এটিকে বাস্তবসম্মত নয়। গেটমানির হিস্যা কম পেলেও প্রচার স্বত্বের কোন অর্থ এখনো পায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

২০১৯-২২ অর্থবছরে বিসিবি গেটমানি বাবদ ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজনের জন্য গেটমানির ১৫ শতাংশ এবং প্রচার স্বত্বের আয়ের ১০ শতাংশ প্রদান করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিসিবি নিয়মিতভাবে এই খাতে অর্থ পরিশোধ না করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিট আপত্তির মুখে পড়ছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে ১০ কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি করেছে বলে বিষয়টি বিসিবি সভাপতি নিজেই প্রকাশ করেছেন। এই টিকিট বিক্রির অঙ্কের ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রাপ্য যা কোটি টাকার ওপরে। গত দুই অর্থবছরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সিরিজের মাধ্যমে গেটমানি বাবদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাওয়ার কথা ছিল এবং প্রচার স্বত্বও বেশ বড় অঙ্কে বিক্রি করেছে বিসিবি যার ১০ শতাংশ প্রাপ্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের।

বিসিবি কখনোই টিকিট ও প্রচার স্বত্বের সঠিক হিসাব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দেয়নি। সেই সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একাধিকার এই হিসাব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই দুই খাতে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ দাবি করেছে।

বিসিবি সম্প্রতি তাদের স্থাপনা সংস্কার ব্যয়সহ আরও বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়ে উল্টো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে টাকা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ২০০৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে পাঁচটি স্টেডিয়াম বরাদ্দের সময় সেই স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার ব্যয় বহন করার দায়িত্ব বিসিবির উপর দিয়েছিল। বিসিবি সভাপতির কাছে প্রেরিত চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গেটমানি ও প্রচার স্বত্বের প্রকৃত হিসাবও চেয়েছে।

ইউএ / টিডিএস

You may also like