৭ বলে দরকার ২৪ রান—লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে এমন কঠিন সমীকরণে ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের স্কোরকার্ড। দলের যখন বাঁচা-মরার লড়াই তখন ক্রিজে সময় নিচ্ছিলেন তিলক বর্মা। ধীরগতির ব্যাটিং দলের জন্য হয়ে দাঁড়ায় বড় চিন্তার কারণ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মুম্বাই তাকে রিটায়ার্ড আউট করে পাঠায় মিচেল স্যান্টনারকে যাতে দ্রুত রান তোলা যায়। তবে কৌশল কাজে লাগেনি। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেও ম্যাচ জিততে পারেনি মুম্বাই। শেষ পর্যন্ত ১২ রানের হারে মাঠ ছাড়তে হয় দলটিকে।
আইপিএলে এটি টানা চতুর্থবার যখন কোনো ব্যাটারকে রিটায়ার্ড আউট করার ঘটনা ঘটল। এবার সেই নজিরে নাম লেখালেন তিলক বর্মা। যদিও তার সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভালো নয়—আগের ম্যাচগুলোতে ছিলেন রান খরায়। লখনৌর বিপক্ষে গতকালও তিনি খেলেছেন ২৩ বলে মাত্র ২৫ রানের মন্থরগতির এক ইনিংস।
তিলকের এই ধীরগতির ব্যাটিংই মুম্বাইকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। শেষ ওভারের আগে তাকে রিটায়ার্ড আউট করে পাঠানো হয় মিচেল স্যান্টনারকে যাতে দ্রুত রান তোলা সম্ভব হয়।
এ নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে বলেন, “স্লগ ওভারে তিলক কিছুতেই বড় শট খেলতে পারছিল না। তাই তাকে তুলে নিয়ে নতুন কাউকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি আরও জানান, এটি ছিল পুরোপুরি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
তিনি জানান,‘সে শুধু শুরু করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারলো না আমরা শেষ কয়েকটি ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, আশা করছিলাম যে সে রান ফিরে পাবে। কারণ সে মাঠে লম্বা সময় ধরে ছিল তাই সে সেই হিটটি বের করতে পারার কথা ছিল। কিন্তু আমি শুধু মনে করেছিলাম যে শেষে, আমাদের একজন নতুন খেলোয়াড় দরকার ছিল।’
তিনি আরো জানান,‘ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তাকে বাইরে নেওয়াটা খুব ভালো লাগেনি কিন্তু আমাকে তা করতে হয়েছিল, ওই মুহূর্তে এটি একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল।’ অবশ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজেও রিটায়ার্ড আউটের শিকার হয়েছিলেন জয়াবর্ধনে। সেটা ছিল আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে। ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে রিটায়ার্ড আউট হন তিনি।
ইউএ / টিডিএস