সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরুর আগেই পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড দুই দলই চোটের কারণে কিছু ক্রিকেটার হারিয়েছিল। এর পাশাপাশি পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) থেকে শাস্তি পেয়েছে, কারণ প্রথম ওয়ানডেতে স্লো-ওভার রেটের কারণে তাদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তান ছিল একেবারে এলোমেলো, এবং ওয়ানডে সিরিজ বাঁচানোর জন্য তারা কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি। নিউজিল্যান্ড সহজেই জয় লাভ করে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে। এই জয় দিয়ে কিউইরা তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুতেই উইকেট পড়তে থাকে। বাবর আজম, আব্দুল্লাহ শফিক, এবং ইমাম উল হকরা ক্যাচ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডারদের অনুশীলন করান। ইমাম ১২ বল খেলে মাত্র ২ রান করেন এবং উইকেট পতন অব্যাহত থাকে। পাকিস্তান ১১.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২ রানে পরিণত হয়। সালমান আলী আগা এবং রিজওয়ানকে বেন সিয়ার্স ফিরিয়ে দেন।
৫২ রানে পাকিস্তান আরও একটি উইকেট হারাতে পারত, তবে ফাহিম আশরাফ রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিম ও তৈয়ব তাহির ৫৫ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। তবে তাহিরের বিদায়ের পর পরই মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র আউট হয়ে যান। পাকিস্তান ২১.১ ওভারে ৭২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর হারিস রউফকে উইল ও’রুর্কের শর্ট বল হেলমেটে আঘাত হানে এবং তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
রউফের চলে যাওয়ার পর পাকিস্তান আরেকটি উইকেট হারায়। আকিফ জাভেদ স্লিপে ড্যারিল মিচেলকে ক্যাচ দেন। ২৮.২ ওভারে পাকিস্তান ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর নবম উইকেটে নাসিম শাহ এবং ফাহিম আশরাফ ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। তবে ফাহিম ৭৩ রানে আউট হয়ে যান। তিনি ৮০ বলে ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান। নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে। ওয়াসিম জুনিয়রকে শেষ ওভারে মিচেল হে একাই ২২ রান নেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে হে ৫০ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন।
পাকিস্তানের বোলার সুফিয়ান মুকিম ও ওয়াসিম ১০ ওভার করে বল করেন এবং দুটি করে উইকেট নেন। মুকিম ৩৩ রান খরচ করেন, আর ওয়াসিম ৭৮ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন। হারিস রউফ, আকিফ জাভেদ ও ফাহিম আশরাফ এক এক উইকেট নেন।
এদিকে, ২৯ মার্চ নেপিয়ারে পাকিস্তানকে ৭৩ রানে হারানোর পর স্লো-ওভার রেটের কারণে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। আইসিসির আচরণবিধির ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং শেষ না করলে প্রতি ওভার কম হলে ৫ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়। সেই ম্যাচের আম্পায়াররা শাস্তি দেন এবং ম্যাচ রেফারি ছিলেন জেফ ক্রো।