বিসিবিতে আরও পাকিস্তানি কোচ নিয়োগ

স্পোর্টস ডেস্ক

সাবেক চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় এইচপিতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদেশি কোচিং প্যানেল চেয়েছিলেন, তবে তার সে প্রত্যাশা আংশিকভাবে পূর্ণ হয়েছে। প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পের সঙ্গে পেস বোলিং কোচ কলি মুরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ বছর আরও দু’জন বিদেশি কোচ এইচপির কোচিং প্যানেলে যোগ দিতে পারেন।

স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার আরশাদ খানকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। বিসিবির সঙ্গে তার আলোচনা বেশ এগিয়েছে এবং ৫৪ বছর বয়সী এই কোচের নিয়োগ চূড়ান্ত হতে পারে। এইচপির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আনাম জানিয়েছেন, সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী স্পিন কোচের নিয়োগ নিয়ে কাজ করছেন। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তাকে প্রথমে তিন মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। যদি কাজটি ভালো হয়, তাহলে তাকে দীর্ঘমেয়াদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হবে। এছাড়া, স্পিন কোচের সঙ্গে বিদেশি ফিল্ডিং কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে।

বিসিবিতে পাকিস্তানি কোচের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাকলায়েন মুশতাকের পর মুস্তাক আহমেদ জাতীয় দলের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি সিরিজভিত্তিক কাজ করেন। এছাড়া, বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টে লেগ স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করছেন শাহেদ মাহমুদ, যিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে লেগ স্পিনারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ২০ জন লেগ স্পিনারকে নিয়ে একাধিক ক্যাম্পও পরিচালিত হয়েছে তার মাধ্যমে।

এইচপিতে পাকিস্তানি কোচ নিয়োগের উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো স্পিন বোলারদের একই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া। মাহাবুবুল আনাম জানান, “এ মুহূর্তে সোহেল ছাড়া আমাদের কোনো স্পিন কোচ নেই। এইচপিতে একজন বিদেশি স্পিন কোচ থাকলে ছেলেরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। কারণ, এইচপিতেই শেখার জায়গা। আমরা আরশাদের সঙ্গে কথা বলছি, প্রথমে তিন মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। যদি তার কাজ ভালো হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে চিন্তা করব।”

আরশাদ খান পাকিস্তান নারী দলের স্পিন কোচ। তিনি ৯টি টেস্ট ও ৫৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৯৯৩ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক করেন তিনি। ২০১৫ সালে খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এবং সেখানে ট্যাক্সি চালানোর কাজ করতেন। ২০২০ সালে কোচিং পেশায় যোগ দেন।

তার নিয়োগ চূড়ান্ত হলে বিসিবির বিদেশি কোচিং স্টাফে পাকিস্তানের প্রভাব আরও বাড়বে। গত ১৫ বছরে বিসিবিতে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ বেশি ছিলেন, তবে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো কোচ নেই। জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে এইচপির পেস বোলিং কোচ কলি মুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের, এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ শ্রীলঙ্কান নাভিদ নাওয়াজ। জাতীয় দলের অন্যান্য কোচিং স্টাফের নিয়োগ চূড়ান্ত হলে আরও কিছু দেশের প্রভাব স্পষ্ট হবে।

You may also like