চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এশিয়ান কাপ ক্রিকেট, যেখানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিকেটাররা নিজেদের ঝলক দেখাবেন। পরের বছর অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। এই দুই বড় টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে বিসিবি ও পিসিবি তাদের আসন্ন সিরিজে পরিবর্তন এনেছে। ওয়ানডে সিরিজের বদলে এখন দুই দেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই দলই হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। সে সময় পাকিস্তানে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ পিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দুটি ৮ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তাব দেন, যা পিসিবি গ্রহণ করে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দুই দেশের সিরিজে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মে মাসে পাকিস্তানে এবং জুলাই মাসে বাংলাদেশে হওয়া দুটি সিরিজের সব ৮টি ম্যাচই হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
বিসিবির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী মে মাসে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডে সিরিজের পরিবর্তে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে। এফটিপির বাইরে জুলাই মাসে বাংলাদেশে এসে পাকিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল, কিন্তু সেটিও এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরিণত হয়েছে।
ফরম্যাট পরিবর্তন নিয়ে বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, “আগামী বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে, তাই এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বেশি খেলা প্রয়োজন। পাকিস্তানও ট্রানজিশন পর্যায়ে আছে এবং তাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দল থেকে বাইরে। তাই এই সময়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমে দল গঠন করা উপকারী হবে।”
বাংলাদেশে আগামী ২০, ২২ এবং ২৪ জুলাই মিরপুরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে, এই সিরিজে দলের নেতৃত্ব নিয়ে বিসিবি এখনো ভাবনা-চিন্তা করছে।