আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দুই সপ্তাহ আগে শেষ হলেও, বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটি শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহেরও বেশি হয়ে গেল। এই সময়ে সাকিব আল হাসানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না রাখা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। দীর্ঘ সময় পর সাকিব নিজেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং জানিয়েছেন যে, বিসিবি তার সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার সময় সাকিবকে দলে না রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তবে এই বিষয়ে তিনি খুব বেশি কিছু বলতে চাননি। সাকিবকে দলে না রাখার প্রধান কারণ ছিল তার বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে প্রায় ছয় মাস তিনি বোলিং করতে পারেননি, ফলে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে দলে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় কম্বিনেশন তৈরি করা কঠিন ছিল বলে মনে করেছিলেন নির্বাচকরা।
দল ঘোষণা হওয়ার পর সাকিব কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি সাকিব ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, ‘দেখুন কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে যদি এই বিষয়ে (বিসিবি ও সাকিবের মাঝে) যোগাযোগটা ভালোভাবে করা হতো, তাহলে আমি খুশি হতাম।’
এদিকে, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় নেগেটিভ, তাই তিনি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন। আমরা তাকে দল গঠনে ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করেছি। কিন্তু কম্বিনেশনে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে জায়গা দেওয়া যায়নি।’ এক্ষেত্রে মাঠের বাইরে সমর্থকদের বিরোধীতার কোনো প্রভাব আছে কি না সেই প্রশ্নে লিপুর জবাব– ‘এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে কেউ অবসর না নিলে (নির্বাচকদের) বিবেচনায় থাকে, যেটা বিসিবি সভাপতিও বলেছেন। ফিটনেস বা অন্য সমস্যা আছে কি না, আমরা সব ক্লিয়ারেন্স চাই।’
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন এখন বৈধ বলে রায় দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তিনি সফল হওয়ায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে আর কোনো বাধা নেই।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিশেষ পারফরম্যান্স করতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ম্যাচে কিছু রান পেয়েছিলেন, তবে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে মূলত তরুণদেরই নাম উঠেছে। বাংলাদেশ ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়ে, এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
