ইয়ামালের রোযা রেখে মাঠে নামা নিয়ে যা বলছেন কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক

উয়েফা নেশন্স লিগের সূচিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচের দুই সূচিতে রোজা নিয়েই খেলবেন ইয়ামাল।

রমজান মাসের রোজা নিয়েই ফুটবল খেলা প্রসঙ্গে অনেক দেশেই আছে কড়াকড়ি। তবে ইয়ামালের ব্যাপারে স্পেনের প্রধান কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের কোনো আপত্তি নেই। রটারডামে ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে পুরোপুরি স্বাভাবিক ব্যাপার। সে তার ক্লাবে (বার্সেলোনা) যে নীতিমালা, নিয়মকানুন অনুসরণ করছে, এখানেই তা-ই করবে। চিকিৎসা দল ও পুষ্টিবিদ তাকে খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা দিয়েছে।’

কোচ ফুয়েন্তে আরও বলেছেন, সব ধর্মের প্রতিই তাঁদের শ্রদ্ধা রয়েছে, ‘সকল বিশ্বাসের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। সে খেলার জন্য একদম সেরা অবস্থায় আছে। যদিও আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। কিন্তু আপনাকে সব সময়ের মতো এগিয়ে যেতে হবে।’

রোজা রেখে কোনো স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের ম্যাচ খেলতে নামাকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। এমনকি দলের অনুশীলন সেশনেও লামিনে ইয়ামালকে রোজার বিধান পালন করতে দেখা গেছে।

স্পেনে মুসলিম জনগণের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। রমজানে অন্যান্য দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতো তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন পবিত্রতা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে। মুসলমানদের এই মহিমান্বিত মাসের শুরুতে স্পেনসহ প্রায় সব ইউরোপীয় দেশের বড় বড় ক্লাব খেলার মাঝে মুসলিম ফুটবলারদের জন্য ইফতার বিরতির ব্যবস্থা করে। তবে নেশন্স লিগের ম্যাচে বিরতি থাকবে কিনা সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি।

লামিনে ইয়ামাল স্পেন জাতীয় দলে খেলা প্রথম মুসলিম ফুটবলার নন। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদি-রাও ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে ত্রাওরে, মুনির বা ফাতি রমজান মাসে স্পেনের হয়ে এখনও কোনো ম্যাচ খেলেননি।

ইউএ / টিডিএস

You may also like