বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা। ১ মার্চ থেকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ বি এম শেফাউল কবীর (অব) নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সামছ এ খানের (অব) স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
মহাপরিচালক হলেন বিওএ’র সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদ। বিওএ’র নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মহাপরিচালকের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন হয় এবং দাপ্তরিক কাজের তদারকিও তার মাধ্যমেই হয়। মহাপরিচালকই ফেডারেশন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এজন্য বিওএ ইতোমধ্যে দেশের সকল ফেডারেশন ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন মহাপরিচালকের পরিচিতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
২০১১ সালে বিওএ’তে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টি হয়। কর্ণেল ওয়ালী উল্লাহ (অব) ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ফখরুদ্দিন হায়দার (অব) এবং ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সামছুল আলম খান (অব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেফাউল কবির বিওএ’র চতুর্থ মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বিওএ, বাফুফে এবং বিসিবি দেশের তিন প্রধান ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক, বিসিবি’র সিইও এবং বিওএ’র মহাপরিচালক হলেন দেশের ক্রীড়া প্রশাসনের শীর্ষ তিন পদাধিকারী। এই তিন প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য ফেডারেশনগুলোতে এখনও পেশাদার কাঠামো গড়ে উঠেনি।
সুপ্তি / টিডিএস