বিদায়ী বছরটি গেমিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক গেম স্টুডিও বন্ধ হয়ে গেছে, এবং ছাঁটাই হয়েছে হাজার হাজার কর্মী। তবে ২০২৫ সালকে ঘিরে গেমিং দুনিয়ায় বেশ আশাবাদী আলোচনা চলছে। বিশেষত, তিনটি বড় ঘটনা নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে যে এগুলো গেমিং শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
প্রথমত, গ্র্যান্ড থেফট অটো ৬ (GTA 6)। ১২ বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে রকস্টারের এই জনপ্রিয় গেম সিরিজের নতুন সংস্করণ। ট্রেইলার ইতোমধ্যে রেকর্ড ভেঙেছে, এবং গেমারদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। যদিও মুক্তির তারিখ কয়েকবার পিছিয়েছে, এবার গেমটি প্রায় প্রকাশের দ্বারপ্রান্তে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে এটি মুক্তি পাবে, যা হবে গেমিং দুনিয়ার অন্যতম বড় রিলিজ।
দ্বিতীয়ত, নিনটেন্ডোর নতুন কনসোল। যদিও আনুষ্ঠানিক নাম এখনও ঘোষণা হয়নি, এটি “নিনটেন্ডো সুইচ ২” নামে পরিচিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সুইচ কনসোলের উত্তরসূরি হিসেবে এটি আরও শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও নতুন ফিচার নিয়ে আসবে। পুরোনো সুইচের বেশিরভাগ গেম এই কনসোলেও খেলা যাবে। নতুন কনসোলটি গেমারদের জন্য এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা আনতে পারে এবং গেমিং দুনিয়ায় নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলতে পারে।
তৃতীয়ত, ইস্পোর্টস অলিম্পিক্স। ২০২৫ সালে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে প্রথমবারের মতো ইস্পোর্টস অলিম্পিক্স অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং সৌদি আরবের মধ্যে ১২ বছরের চুক্তির আওতায় এই ইভেন্টটি আয়োজন করা হচ্ছে। যদিও মানবাধিকার ইস্যু ও “স্পোর্টস ওয়াশিং” নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, এটি গেমিং ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হতে পারে।
এই তিনটি বড় ইভেন্ট—GTA 6-এর রিলিজ, নিনটেন্ডোর নতুন কনসোল এবং ইস্পোর্টস অলিম্পিক্স—গেমিং দুনিয়ার ভবিষ্যৎকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। ২০২৫ সাল তাই গেমারদের জন্য হতে যাচ্ছে একটি রোমাঞ্চকর এবং উত্তেজনাপূর্ণ বছর।