Home » সাকিব-মাশরাফীর অভিজ্ঞতা দেখে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই আফ্রিদির

সাকিব-মাশরাফীর অভিজ্ঞতা দেখে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই আফ্রিদির

by Tahmid Rahman

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান আসরে শুধু মাঠেই নয়, জমে উঠেছে ক্রিকেটারদের আড্ডা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটাররা খেলাধুলা থেকে রাজনীতি—সব বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

সম্প্রতি এক আড্ডায় মুখোমুখি হন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি, তরুণ পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। আড্ডার একপর্যায়ে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা জমে ওঠে।

নবীর রুমে যাচ্ছিলেন শহীদ আফ্রিদি, পথে দেখা হয় তামিম ইকবালের সঙ্গে। তারপর শাহীনও যোগ দেন আড্ডায়। স্মৃতিচারণ, ক্রিকেটের বিভিন্ন প্রসঙ্গের পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে।

আড্ডার এক পর্যায়ে তামিম সরাসরি আফ্রিদিকে প্রশ্ন করেন, “রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে কি?” আফ্রিদি হেসে উত্তর দেন, “তোমাদের অবস্থা দেখে মনে হয় না আমার রাজনীতিতে নামার ইচ্ছা থাকা উচিত!”

তার এই মন্তব্যে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। যদিও তিনি সরাসরি কিছু ব্যাখ্যা করেননি, কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার দিকে ইঙ্গিত করেই কথাটি বলেছেন বলে মনে হয়।

সাকিব-মাশরাফীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার

বাংলাদেশের দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ফলে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। মাশরাফী, যিনি একটি সময় সংসদ সদস্য ছিলেন, এবারের বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে থাকলেও তাকে দলের কার্যক্রমে তেমন দেখা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের পর এখনো দেশে ফেরেননি। তাদের এই পরিস্থিতি আফ্রিদির মন্তব্যের পেছনে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকতে পারে।

আফ্রিদির মন্তব্য হালকা কৌতুকের ছলে হলেও, এটি বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ক্রিকেটারদের বাস্তবতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।

You may also like